একুশে ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২০২৫ উদযাপন

সংশ্লিষ্ট সকলকে জানানো যাচ্ছে যে, শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস/২০২৫ যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপনের লক্ষ্যে কলেজ নিম্নোক্ত কর্মসূচি গ্রহন করেছে। উক্ত কর্মসূচিতে সকলকে উপস্থিত থাকার জন্য বলা হল।

 

 


অনুষ্ঠান সূচি:

ক্রম নং সময় কর্মসূচি ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব মন্তব্য
০১ ২১/০২/২০২৫
রাত ১২.০১ মি.
কলেজ শহীদ মিনারে পুষ্পমাল্য অর্পণ কলেজ প্রশাসন ও শহীদ দিবস উদযাপন কমিটি
০২ ২১/০২/২০২৫
সকাল ০৭.৩০ মি.
কলেজ প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও কলেজ শহীদ মিনারে পুষ্পমাল্য অর্পন প্রশাসন+কমিটি+কর্মকর্তা+সকল বিভাগ+রোভার+বিভিন্ন সংগঠন, দল, শিক্ষার্থী ও কর্মচারী
০৩ ২১/০২/২০২৫
সকাল ৮.৩০ মি.
রচনা প্রতিযোগিতা ও বাংলা কবিতা আবৃত্তি। রচনার বিষয় ‘বাংলা সাহিত্যে ভাষা আন্দোলনের অবদান’ (অনধিক ১২০০ শব্দের মধ্যে হতে হবে)। কবিতা আবৃত্তির বিষয়: ‘কাঁদতে আসিনি ফাঁসির দাবি নিয়ে এসেছি’ কবি: মাহবুব উল আলম চৌধুরী। (যারা এসেছিল নির্দয়ভাবে হত্যা করার আদেশ নিয়ে আমরা তাদের কাছে ভাষার জন্য আবেদন জানাতেও আসিনি আজ। পর্যন্ত আবৃত্তি করতে হবে)। নিচে কবিতাটি দেওয়া হল। সকল শিক্ষার্থী
০৪ ২১/০২/২০২৫
সকাল ৯.১০ মি.
বাংলা বানান সকল শিক্ষার্থী
০৫ ২১/০২/২০২৫
সকাল ৯.৩০ মি.
পুরস্কার বিতরণী ও আলোচনা সভা প্রশাসন+কমিটি+কর্মকর্তা+সকল বিভাগ+রোভার+বিভিন্ন সংগঠন, দল, শিক্ষার্থী ও কর্মচারী

বিশেষ দ্রষ্টব্য:

  • রচনা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী ছাত্র-ছাত্রীদের নিবন্ধন ও রচনা জমা দেওয়ার শেষ সময় ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ দুপুর ১২.০০
  • রচনা ২০০ শব্দের মধ্যে সহস্তে লিখতে হবে এবং বাংলা বিভাগের প্রধান, জনাব মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, এর নিকট জমা দিতে হবে।

অধ্যক্ষ
প্রফেসর মোঃ আবু বকর সিদ্দিক সরকার।

 


 

কাঁদতে আসিনি, ফাঁসির দাবী নিয়ে এসেছি
মাহবুব উল আলম চৌধুরী

যারা প্রাণ দিয়েছে ওখানে
একটি দেশের মহান সংস্কৃতির মর্যাদার জন্য
আলাওলের ঐতিহ্য
কায়কোবাদ, রবীন্দ্রনাথ ও নজরুলের
সাহিত্য ও কবিতার জন্য
যারা প্রাণ দিয়েছে ওখানে
পলাশপুরের মকবুল আহমদের
পুঁথির জন্য-
রমেশ শীলের গাথার জন্য,
জসীমউদ্দীনের ‘সোজন বাদিয়ার ঘাটের’ জন্য।
যারা প্রাণ দিয়েছে
ভাটিয়ালি, বাউল, কীর্তন, গজল
নজরুলের “খাঁটি সোনার চেয়ে খাঁটি
আমার দেশের মাটি।”
এ দুটি লাইনের জন্য
দেশের মাটির জন্য,
রমনার মাঠের সেই মাটিতে
কৃষ্ণচূড়ার অসংখ্য ঝরা পাপড়ির মতো
চল্লিশটি তাজা প্রাণ আর
অঙ্কুরিত বীজের খোসার মধ্যে
আমি দেখতে পাচ্ছি তাদের অসংখ্য বুকের রক্ত।
রামেশ্বর, আবদুস সালামের কচি বুকের রক্ত
বিশ্ববিদ্যালয়ের সবচেয়ে সেরা কোনো ছেলের বুকের রক্ত।
আমি দেখতে পাচ্ছি তাদের প্রতিটি রক্তকণা
রমনার সবুজ ঘাসের উপর
আগুনের মতো জ্বলছে, জ্বলছে আর জ্বলছে।
এক একটি হীরের টুকরোর মতো
বিশ্ববিদ্যালয়ের সেরা ছেলে চল্লিশটি রত্ন
বেঁচে থাকলে যারা হতো
পাকিস্তানের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ
যাদের মধ্যে লিংকন, রকফেলার,
আরাগঁ, আইনস্টাইন আশ্রয় পেয়েছিল
যাদের মধ্যে আশ্রয় পেয়েছিল
শতাব্দীর সভ্যতার
সবচেয়ে প্রগতিশীল কয়েকটি মতবাদ,
সেই চল্লিশটি রত্ন যেখানে প্রাণ দিয়েছে
আমরা সেখানে কাঁদতে আসিনি।
যারা গুলি ভরতি রাইফেল নিয়ে এসেছিল ওখানে
যারা এসেছিল নির্দয়ভাবে হত্যা করার আদেশ নিয়ে
আমরা তাদের কাছে
ভাষার জন্য আবেদন জানাতেও আসিনি আজ।
আমরা এসেছি খুনি জালিমের ফাঁসির দাবি নিয়ে।